কবি মান্টি অধিকারী দত্ত'র পাঁচটি কবিতা :
পরিবর্তন
এসো, মৃত্যুর মুখোমুখি বসি,
উষ্ণ খাদে এখন মাঘ মাস,
মন সেদ্ধ ভোরে
মেঘ মাটি না ছুঁলে
নতুন বসন্ত আসে না,
তাই ব্যবচ্ছেদের আগে
শবের নৈঃশব্দ্যে
অজস্র লাশ,
এসো, অসুখের বুক খুঁড়ি,
মাংসাশী জিভে গেঁথে দিই
সহস্র কচি সবুজ ঘাস ।
চাহিদা
কিছু জন্ম ইতিহাস ভুলে যায়
পুনরায় জন্মের তাগিদে;
কিছু মৃত্যু ঢাকা পড়ে যায়
আচমকা রোদ্দুরে;
ক্ষীণ অস্তিত্ব ছুটে ছুটে
যায় ক্ষণিকের স্বর্গে ,
প্রতিটা জন্ম কুরে কুরে খায়
গহীন থেকে গর্ভে ।
শহর
এ শহর বৃষ্টি বাতাসে
মাটির সোঁদা গন্ধ মাখে না,
মৃত্যু লোকানো বুকে খাঁচে
প্রজাপতিরা আর আসে না,
এখন আত্মার গায়ে
মাংসের পচা গন্ধ
কালসিটে নিকটিনে
মাতলা নদীর মাতাল ছন্দ ,
এ শহর বিষন্নতার বাঁকে
বেদনার সুর বাঁধে না,
এ শহরে
পলাশের যান্ত্রিক সুখে
বসন্তের গন্ধ আসে না।
শব্দের জননী
তুমি বৃষ্টি ছিলে
ফাগুন জাপটে
মুষড়ে পড়তে
কাঠফাটা রোদ্দুরে;
নৈসর্গিক সীমান্ত পেরলে
পৌঁছে যেতাম
সেই পরিমিতির পরিসরে;
শুনতে পেতাম
শব্দ বীজের অঙ্কুরোদগম,
কুন্তী কখনওবা তুমি গঙ্গা!
তুমি মহীরুহ ।
আগুন-চোখে পুড়িয়েছো আকাশ,
নিস্তব্ধ আর্তনাদে রাতে শরীরের বিষাক্ত
নোনা সমুদ্র স্বাদে তোমার শব্দের পরাগায়ন;
তুমি বাক্। কবিদের জায়া ও জননী।
মুক্তি
নখের ত্বকে
ক্ষুধার্তের অসম শক্তি
স্বীকৃতির শিকড়ে
অনুচ্চারিত স্বীকারোক্তি!
মাটির খুঁড়ে জল
জলের তীক্ষ্ণ কোলাহল
আজ আর বৃষ্টি নয়...
আগুনেই হোক ফুলের মুক্তি!
-----------------------------
Good
ReplyDelete