কবি সায়ন্তনী হোড়ের কবিতা :
মুহূর্ত ও সংলগ্নতা
১.
ঠোঁটের উপর গেঁথে দেওয়া শব্দেরা
ধীরে ধীরে বাষ্পীভূত হচ্ছে
যেভাবে তুমি বাসি বিছানায় প্রতিদিন সুড়ঙ্গ খোঁজো
ঠিক সেভাবেই একটা ক্ষয়ে যাওয়া সময়ের মধ্যে
আমি নিজের ছায়া কে খুঁজি
এভাবে একটা মোচড়ানো রাত কেটে যায় নিমেষেই,
আর তারপর দীর্ঘশ্বাস পেরিয়ে ক্যানভাসের ছবিদের গভীরতা মাপতে থাকি
২.
অন্ধকারের আঁচড়ে ফেলছো
গায়ে লেগে থাকা সব বিষাক্ত কথাদের ,
এভাবে কেউ কোনোদিন বিষন্নতা কে
উল্টে দেখেনি
জ্বরের তাপমাত্রা কে ও গচ্ছিত রেখেছি
আমাদের দীর্ঘ চুম্বনের কাছে ,
শুধু সংকেত যুক্ত কিছু মুহূর্তদের
বুনে যাচ্ছি মাঠের শেষ প্রান্ত ধরে
একটা আধখাওয়া সন্ধ্যে
অবশিষ্ট তারাদের সৌন্দর্য উপভোগ
করতে করতে
নরম বালিশের তুলোদের ঘেঁটে দেখছে
৩.
রিডের গা বেয়ে উঠে আসুক
পাশ্চাত্যের কারুকার্য ।
নকশা কাটা জানালা ।
ক্রমে ক্রমে জাপসা হচ্ছে একটা শরীর
রঙিন ভোরের গায়ে ছোপ ছোপ
কালচে দাগ লেগে থাকে ,
যেখানে আজও একটা বেওয়ারিশ মেঘের খুনের জন্য দায়ি থেকে যায় ঘর্মাক্ত শরীর
৪.
কখনও কখনও শাওয়ারের নীচে
চোখেরা গোলক হয়ে যায় ।
জলের নিম্ন আদালতে বহুদিন
কোনো শুনানি হয়নি
কারণ
আজকাল পৌরুষ আয়ু নিমজ্জিত থাকে
অন্ধকারের বুকের ভিতর
শুধুমাত্র স্নানঘরে-ই জমা থাক সব
অভিযোগের খোলস ,
আর বাকি অংশ বিচ্ছিন্ন ভাবে পড়ে থাকুক
বন্ধ ঘরের আনাচে-কোণাচে
একটা রক্তশূন্য সমীকরণ .. .
৫.
কতটা আদর চুঁয়ে পড়লে
আয়নার প্রতিবিম্বরা অশরীরী হয়ে যায় তা জানা নেই ,
তবে ঘড়ির কাঁটার মধ্যেই লুকানো থাকে
সহবাসের ইক্যুয়েশন
মধ্যরাতের আর্তনাদ । শিরা ছিঁড়ে বেরিয়ে আসছে ফোঁটা ফোঁটা রস ।
ঋতু বদলে গেলে
জন্মনিরোধকের প্রয়োগ মিথ্যে হয়ে যায় ,
আর কয়েকটা হূক লাগানো বাকি
এরপর ই ক্লিনশেভ কাগজের উপর
যৌনগন্ধ প্রকট হয়ে উঠবে
______________
No comments:
Post a Comment