হেঁটে যায় নির্জন
খড় থেকে কুটোর মিথ্যে পুড়ে যায়
পড়ে থাকে ছাই
লাইনচ্যুত বেদনার গান উপড়ে কচি
চিবুক খুলে যা।
সহসা আঁধারের ডানা হতে পেঁচা
নেবে আসে...
বাতাসের ঠোঁট থেকে চুইয়ে পড়ে
পাথরের যে বেদনা
তেলাকুচ লতায় ঝোলে
কচি আকাশ ভেঙে পড়ছে শ্মশান
ঘাটে
কাল সারাদিন মৃত্যুর কথা ভেবেছি...
এরপরও জ্যোৎস্নার জল চুইয়ে
বাঁকানো রাস্তায় পড়ি...
আমার বাঁকা মিথ্যেগুলিতে
কিছু একটা খুঁজি
যা ধামাকাহীন
নিশ্চুপ
পুকুরের শান্ত ঢেউ...
এখানে ডিম ফেটে একরত্তি একটা
পাখি ফুটেছিল
তোমার মনে আছে?
জঙ্গলের ভেতর শ্বাস শ্মশান ত্যাগ করে
ফিরে যাও...
যে সকল বেদনার দিকে
মুখ নামিয়ে রেখেছে আত্মা
চেনো না তুমি কে কার দিকে ঢুকে আছো
সকালবেলায় আলো হেঁটে এলে
গাছের চিকন গিঁটে ছিঁড়ে থাকে তোমার নাম
অস্পষ্ট একটা চিলের আর্তনাদ খুঁটে খায়
দ্রুত আকাশ। জলের ঠোঁট থেকে বরফের চোট
চলকে পড়ে... বাতাসে এতো ফেনা কে ছড়িয়েছে?
আজ দেখা হবে তরঙ্গের সঙ্গে, বাতাসবাহিত...
মুগুর নামিয়ে রেখেছে আত্মা তোমার প-এর দিকে
ভীতু গ্রহের দূত ঘাসের ভিতর অজস্র শিশিরের
ডিম রেখেছে, ভোরবেলায় দেখা হোক তোমার...
ক্ষুদ্রতার দিকে
এভাবে যাওয়ার পর
সোনালী মিত্রের কাছে
পদচিহ্ন রেখে এসেছি
শব্দের ক্ষরিত ধোঁয়া আর
তুমি একাকার হয়ে এসেছো।
এই বার মোহের বাঁশ ঝুঁকে
গেছে জলের তেষ্টার দিকে।
এই শতধী জল তোমার কাছে
ঘুমিয়ে আছে...
কিছুটা ভয়াবহ দিকে
কঙ্কালের পায়ের ছুড়ি হেঁটে গেছে
অন্ধকারে
সটান এক পত্ররেণু ফুটবে। শিশ্ন
বড্ডো ফাঁথনাবাজ
আষাঢ় মাসের দুপুরে বরফের
বিছানায় জল চুষে খায় তোমার
সঙ...
মারাত্মক আহত অবস্থায় উদ্ধার
করা হয় নিজস্ব ঘুমকে... ডানাহীন
এক লড়াকু কোণে আবদ্ধ!
No comments:
Post a Comment