কাব্য
এই চুয়াল্লিশ বছর ধরে বৃষ্টি...
মনে হয়, একটি ফোঁটাও লাগেনি গায়ে
আমি ভয়ভীত, মাংসের তলে ক্লান্ত...
আমার আগে-আগে ছাতা নিয়ে যাচ্ছে
ওই লোকটি কে!
নিশ্চিত কিছু, আমি চাইনি, খুঁজিনি কখনো।
ওই ছাতামাথা লোকটি কি আমায় চেয়েছে!
অনিশ্চিত কিছু, আমি চাইনি, খুঁজিনি কখনো!
লীলাপ্রসঙ্গ
একমাত্র তোমাকেই বলা চলে
এইসব ভূকম্পন আর বিরোধের কথা।
তবু এই জীভ লজ্জা ও লালায় দ্বিখণ্ডিত।
এই শ্বাসবায়ু তিনটি ছিদ্রের সমাহার।
দেওয়ালে অঙ্কলতা আয়তক্ষেত্রের
সৌন্দর্য পেতে চেয়ে ব্যাস ও ব্যাসার্ধের
নিকটে এসে থেমে আছে।
এইখানে চলমান রাজনৈতিক ছায়া
মিথ্যামেঘের আড়ালে বেধক বজ্রবৃষ্টিপাত!
সূর্যের জয় হোক, আজ আলো
লম্পট ও লম্বভাবে এসেছে।
আজ আওতায় খেলা করে বস্তু স্বয়ং!
এখানে বেঁচে থাক রঙিন বর্ণমালা সব,
যারা ছায়ার অসিতবর্ণ কালো ডালপালা,
থুতু আর পিক প্রক্ষেপ করে,
কালারফুল বিজলীর ফুল আর ফলে
অম্লান করে দিতে চেয়েছিল।
মহাপাতক
আজ ব্যবহৃত কণ্ডোমের ধ্যান করলাম পাঁচ মিনিট। স্বল্পভাষিতা যেটুকু আমার, ওর কাছেই শিখেছি।
ক্রমশ গোলাপি রঙ ও পিচ্ছিলতার দিকে চলে যাওয়া,
যাত্রাপথ সবকিছু ওই ডাস্টবিন থেকেই অর্জন।
তবু এতো আক্কেল আর বৈদগ্ধ্যের পরেও
বিড়াল কেন গোপনে সেক্স করে
আমার মাথায় ঢোকে না।
ওরাও কি গর্ভ নিরোধের মেথড শিখে গেল?
কিংবা পল্লিগ্রামের ওই মেয়েটি কেন বেছে নিল
খানকির জব?
আচ্ছা ওই লোকটি কেন খালি-পায়ে রাস্তা হাঁটছে?
অথচ পথে পেরেক, কাঁটা, টুকরো কাচ আছে।
ও নিশ্চিত মানসিক বিকারগ্রস্ত! ভায়োলেন্ট! উন্মাদ!
চিন্তন ক্ষমতার এই কূট ট্র্যাপ,
এই প্রাচীন জংলী বর্বরতা,
আদমি হিসেবে একান্তই আমার।
দরবেশ দর্শন
তোমার তো কোনো খুঁত নেই,
শুধু সমালোচনা আছে।
একে কী নামে ডাকা যায়?
ধরা যাক শ্যামআলো।
এই জোড়া শব্দের যদি রহস্য বিদীর্ণ করতে ইচ্ছা হয়,
তবে ভোররাতে উঠে পড়তে হবে একদিন।
তারপর জল খেয়ে হিসি করে শুয়ে পড়তে হবে পুনরায়।
এরপর তুমি স্বপ্ন দেখছো...
তোমার নাকের ভিতর দিয়ে ঢুকে পড়ছে
যাত্রীসমেত নৌকো।
ছাগল-ও আছে কতগুলো সেখানে।
তাদের মুত গড়িয়ে আসছে তোমার কণ্ঠ দিয়ে।
সোনালি রৌদ্রের মতো রঙ ওই তরলের।
শুধু ব্যা-ব্যা করে একটা নিনাদ শোনা যাচ্ছে...
বৃহদায়তন একটা কান ভেসে আসছে কোথা থেকে।
একি! নৌকার ভিতরে এতো জল কেন?
সহসা ঘুম ভেঙে গেল তোমার!
গোটা বিছানা, জাজিম সব ঝাঁঝালো গন্ধে ভিজে আছে!
তুমি ধুপছায়া শব্দটি নিয়েও একই পদ্ধতিতে
ভাবতে পারো...
চাষ
ডুবুরি নেমেছিল জলে। জল শুকিয়েছে।
অনেকটা নাচ। অনেকটা শব্দের মাঝে ফাঁক।
সবেতেই লাভ ছাড়া ক্ষতি দেখি না।
আমাদের অস্থিরতায়
ক্লান্ত ছোটাছুটি এসে ওড়ে।
হাঁপিয়ে উঠি। কিছুটা অনিয়মিত
কোণে গিয়ে বসি।
ঘরে আর বনে সংঘাত হয়।
ধাতব বৃক্ষ কাঁদে। কাঁদে অর্ধেক ফল।
এবছর অস্ত্রের ফলন উজ্জ্বল তবে?
Best wishes, go ahead
ReplyDelete