নিছক ঝরে পড়া মেঘের দুঃসাহসী ঊরুসন্ধির অক্লান্ত আবেদনের অক্ষরেরা এবার সমবেত তরুণ তুর্কি। রক্তের বর্ণালীতে নবীন আলোর ঝলকানি! এই দৃশ্যে উচ্ছল নদীর উন্মাদী আত্মোৎসর্গ বর্ণে বর্ণে বসন্তকে ধ্রুবক হিসেবে বেছে নেয়। আসলে গণিতের সমস্ত সূত্রগুলো নিছকই একমুঠো বালির মতো, হয়তবা ঠিক সেইজন্যেই এই ভরা বসন্তে ডাংগুলি খেলা বিকেলের গায়ে শব্দফেরি করতে করতে হরেক শব্দের কবিতা লিখে ফেলছে আজকের তরুণ তুর্কিদের সাহসী কলম। কেউ দুরন্ত অনুভূতিতে তুলে ধরেছেন বুক পর্যন্ত সাদা বরফ কিংবা প্রকট হতে দেখি আঁচলের ভূমিকায় শিয়াল হচ্ছে রাত্রি। মানুষের জীবনের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অক্ষরের প্রাসঙ্গিতা যে ঝড় তোলে, সেই ঝড় বসন্তের ক্যানভাসকে ভরিয়ে দ্যায়, উদ্বেলিত মন নদীর ভালোবাসার জারজ আর্তিকে বুঝে ফেলে, জট পাকানো সমস্ত চিন্তার আধিভৌতিক বহুমাত্রিক দেওয়াল জলের ভাস্কর্যে আগামীদিনকে চিহ্নিত করতে বদ্ধপরিকর। তাই বোধহয় কোনো কোনো অনির্বাণ সাহস হার না মানা ছন্দের গায়ে ফুটিয়ে দিতে পছন্দ করে অ্যাড্রিনালিন আর স্বভাবতই ভাবকে ম্যারিনেট করে ফ্যালে যৌন ভিনিগারে, ফলশ্রুতি স্বরূপ যাবতীয় মাত্রাকে বেঁধে রাখা হয় অন্তর্বাসে। আজকে এই সত্যকথনই আমাদের সবার অক্ষর যাপনের মূলমন্ত্র। বস্তুত এই জীবন আদতে হলুদ রোদের নীচে পাললিক শিলা। আমাদের তপস্যা, ভণ্ডামির পাশাখেলাকে উল্টে নতুন রংয়ে নতুনভাবে নিজের অন্তরাত্মার আহবান শোনার। এই আহ্বানকেই নিজের মতো করে শোনার চেষ্টায় আকুল আজকের সমস্ত অক্ষরজীবী থেকে সকল পাঠক। এই স্বপ্ন প্রত্যেকেরই একান্ত নিজস্ব স্বপ্ন। রক্তের দাবাগ্নি আমাদের শিরার মধ্যে, বোধের মধ্যে, অস্থিরতার মধ্যে সেই স্বপ্নকেই বপন করে চলেছে।
ভালোবাসা সহ--
ধন্যবাদান্তে,
সুতনু হালদার ও সৌরভ বর্ধন
২৬/০৩/২০১৯
তুমুল
ReplyDelete