আমরা এখনো মরে যাইনি
আনমনে অনেক কিছু ভাবতে ভাবতে চলে যাই
কী ভাবি , তেমন তো নয়
ব্যথা , অনুভবগুলো ভিতর থেকে উঠে আসে
কী চাইছে এই জীবনের মালিকানা
দূরে কোথাও সরে যাচ্ছে ছায়ার শিকড়
কথার যৌক্তিকতার ভিতর ছাতা খাটিয়ে হেঁটে চলে লোকগুলো
আমি দূরত্বে বসে বসে অবাক হই
চাষিরা সেই একই কাজ করছে , শ্রমিক বঞ্চিত
ক্ষুরধার তাপমাত্রা বাড়িয়ে দেশ ঢুকে পড়ছে অন্য মেরুতে
আমাদের যন্ত্রণা ধুয়ে গেছে , আমরা এখন খণ্ডিত ।
দ্রুত পায়ের উদ্বেগ ডানদিক থেকে বাঁদিকে পায়চারি করে
রাত্রি ক্রমশ প্রক্রিয়াজাত অন্ধকারে ঘুম সনাক্তের দিকে
এসো মানুষের কথাগুলো বলি
কষ্টের গায়ে হাত বুলিয়ে দিই
অনেকটা দূর যেতে হবে ,অনেকটা দূরে আছে উষ্ণতা
যা আটপৌরে সাধারণ তেমন ঘরেই তো গভীর মর্মবোধ
এখনো মরে যায়নি আমরা
আমাদের কথাগুলো ছিল পুরনো স্বপ্নের আড়ালে
রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস
কতিপয় দক্ষিণদিক ফুটো হয়
কতিপয় উত্তর দিক রাষ্ট্রীয় সমাচার পড়ে
বিধিবদ্ধ সোনার চামচ
ইতিমধ্যে যোজন আয়ু বাড়িয়ে বুদ্ধি ভান্ডার ভেঙেছে
ইস্তক আমার শহরে দেশভক্তির প্রভাব ক্যায়া দেখা হে তুমকো
মুঝে তো সরম আ রহা হ্যায়
ওইখানে যেও না কো তুমি
ওইখানে চরম বিপর্যয়
ভেড়াদের সাথে বেহেস্তবাসী হয়ে কোথায় লুকাবে সংশয়
তীব্র নাকচ , শোনা যাচ্ছে তৎপর তৎপর
উঠোনের উপকণ্ঠে ভারী বুটের শব্দ মেহেন্দিগাছ ভেঙে দিয়ে যায়
প্রশ্নপত্রের উত্তর গভীর ষড়যন্ত্রে ইমন রাগ গায়
আর যাব না তোমাদের পাড়ায় বিরিয়ানি খেতে
আমাদের গোরু আমাদের মাতা আমাদের সহায়
শব্দের উপর প্রজাপতি দুটো উড়ছে উড়ছে
স্বপ্ন যেন ভিন দেশে গেছি , শ্বাস আমার ভাঙছে
দিল কি বাত
কসম , দেশের মধ্যে বিদ্বেষ ঢুকে গেল কীভাবে ।
রক্ত রক্ত
তোমার আমার হৃদয় কাঁপছে
যা ছিল প্রেমের জন্য , ভালোবাসার হাপড়
মকসদ ওই মঞ্জিল তো বহুত দূর
প্রিয় দেশবাসী , কন্ঠ ছেড়ে দেখো আমার উৎকন্ঠার সুমুদ্দুর
অজানা ভয়ের কাছে শঙ্কা বাজছে ডঙ্কা ডঙ্কা
মন প্রতিফলন দুর্বার চাষ নতুন এপিসোড লঙ্কা
ঘরে ফেরা ছিল , ঘরে ফেরা হামেশাই সফল
ভীষণ মনকেমন , দিল কী বাত
বেদনার রঙে ভরা হয়ে গেছে যন্ত্রণার ফাঁস
মানুষের গান কে শোনাবে , বর্তমান গুনছে লাশ
হারাকিরি নয় এ জীবনের প্রজ্বলতা
দুরন্ত ক্যানভাসে অক্ষয় আত্মাগুলো কালির রঙে নাচছে
পরস্পর নিলম্বিত উদ্বায়ু
কক্ষপথে ঘুরে চলেছে ওই তো প্রতাপময় স্পর্ধাসমীপেষু
হারাকিরি নয় এ জীবনের প্রজ্বলতা
এখানে ঘরোয়া আড্ডার মাঝে জনম কেটে যায়
মেধার খুপড়িতে চিৎকার করে ছাগল
কবিতার ব্যথায় আমাকে ট্র্যাশ করেছো বলে
যাবতীয় উৎপাদন বন্ধ রেখেছি ভেবো না
ভেবো না ছাতার মধ্যে ছত্রাক জন্ম নেবে না
গাঁদাল পাতায় ফটকা মারার দৃশ্য দেখতে দেখতে
হাজার MB নেট শেষ
দিলরুবা দিলরুবা মেরি জান , দিল কি আওয়াজ পৌঁছ দো
আমি যে নিজের দোষে হারিয়েছি সব
ভীষণ কারিগর প্রেম ব্যাখা করে দলিতের কসম
যাব না যাব না শৃঙ্গার তক
হাসিন দুশমন ঘুম রহা হ্যায় ,খোয়াব দেখো মাত
গগনে গগনে উড়ে চলে ওই
মেঘের বিবিধ মালি
চিল্কার হ্রদে সেজে ছিলাম আমি তৃণভোজী একফালি
দুশমন দুশমন বিদ্ধ করছে , আবদ্ধ করছে সব
তুমিও একটি অবান্তর প্রক্রিয়া
একা , রক্তক্ষরণ এবং ভ্রূর উপর ব্যথা
জাগিয়ে রেখেছে
আপেল তবু মাটিতে
কথাগুলো শেষ হয়েছিল , মেঠো পথ কংক্রিট হল
গুটখাদের মিছিল হল,ওদের দাঁতে ছোপ
সকাল থেকেই জানালার কাছে মেঘ
বৃষ্টি নেই তাপ বেড়েছে মাঠময়
Oh beautiful boy listen to me
সাজিয়ে রেখেছি তোমাদের জন্য দিলের সঞ্চয়
একতারা কেটে গেছে , সুর অসুর প্রায়
ভ্রমরের নিনাদে ছড়ানো সুখ গুঞ্জরিত
এমন করেই বেলা বাড়ে ঘোষণায় জমে দুখ
তুমিও একটি অবান্তর প্রক্রিয়া , কপালে ঠেকাও বন্দুক
আত্মসাতের আগে পোজ দিয়েছিলে
চরম depression এর পোশাক ছিল খাকি
এক থোকা রজনীগন্ধা
বড়ো নিষ্ঠুর হয়ে গেছো ইচ্ছাপূরণে ভীষণতর মেকি
প্রতিটি কবিতায় সুন্দর । কন্ঠ ছেড়ে দেখ উৎকন্ঠার সমুদ্দুর ।।অনন্য শব্দ বন্ধ ।
ReplyDeleteআপনার কবিতায় অনন্য র স্বাদ পায়। বারবার পড়ি ।
দারুণ প্রতিবাদী লেখা আফজলভাই! সুন্দর।
ReplyDelete