প্রথম বছর ঘুরতে চলল, ২০১৮ সালের ৫ই সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়েছিল দহরের প্রথম সংখ্যা। ১ থেকে শুরু করে আজ ১২তম সংখ্যা। এই একটা বছরে প্রচুর প্রাপ্তি ঘটেছে, সেখানে অপ্রাপ্তি বা কুপ্রাপ্তির পরিমাণ নগন্য। অন্তত 'দহর' নামটা ফেসবুকের দৌলতে প্রচুর মানুষের কাছে পরিচিতি পেয়েছে। ক' জন ব্লগটি খুলে অন্যের লেখাও পড়েছেন সেই হিসাব এই বাংলাবাজারে না করাই ভালো। কিন্তু আমরা একটি 'বাদ'-এই বিশ্বাসী আর তা হলো আশাবাদ। তবে এটাও ঠিক যে, প্রচুর মানুষ তাদের ভালো লাগাটাও জানিয়েছেন, ভালোবেসে পাশে থেকেছেন অনেকে, ব্লগটা খুললে 'শুভ নেত্রার্পণ' অংশে সংখ্যাটা কিন্তু কয়েক হাজার। এবার আসি আসল কথায় : দহর কতটা নতুন ও আলাদা কিছু দিতে পারলো? বা আদৌ পারলো কিনা! এটা ঠিক যে, বেশ কিছু ভালো ভালো কবি দহরে লিখেছেন, লিখেছেন সদ্য লিখতে আসা তরুণ-তরুণীরা, বাংলাদেশ থেকেও লিখেছেন বেশ কয়েকজন, অপরিচিত অনেকের লেখা পড়ে আশ্চর্য হয়েছি, কী দারুণ তাদের কলম। ভালো ভালো কবিতা লেখা হয়েছে - বড়ো মুখ করে আমরাই বলছি সে কথা, কারণ যে জানে সে জানে...
অনেক লিটিল ম্যাগাজিন, অনেক ব্লগজিন এখন, অনেক মানে প্রচুর, বোধহয় এক্সেসিভও, আমাদের মতো কাজ করছেন অনেকেই, অনেক অনলাইন পত্রিকা দেখেছি দুর্দান্ত কাজ করছে, তারা প্রশংসনীয়, ঈর্ষনীয়। তবে, দহর আলাদা কী করছে যার জন্য দহরের প্রয়োজনীয়তা অনস্বীকার্য ? নাকি শুধু স্রোতে গা ভাসানই ? কিন্তু প্রথম সম্পাদকীয়তে তো আমরা বলেছিলাম তুলো আর লবনের বস্তার তফাৎ কিংবা দ্বন্দ্ব, চিনে নেওয়ার যুঝে নেওয়ার দ্বন্দ্ব। সেই প্রথম সংখ্যা থেকেই আমরা এই দ্বন্দ্বের সমাধান খুঁজছি। এবং এই দ্বাদশ সংখ্যায় এসে আমরা জানাচ্ছি যে দহর এই ইঁদুর দৌড়ে নেই, আমরা তফাতে চলতেই ভালোবাসি। একটু করে প্রস্তুতি একটু করে এগোন। ব্যক্তিসত্তা আরোপ করে বলা যায় একটু বিশ্রাম মানুষকে অনেকটা সতেজ করে ; সতেজ সবল সুস্থ মনের মানুষ নিত্যনতুন চিন্তায় ও সৃষ্টিতে কাজে লাগে, দশের সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করতে পারে। নিজের সৎ মানসিক পরিতৃপ্তি তাকে উত্তরণ ঘটাতে পারে শুভ চেতনায়। সকলে ভালো থাকবেন...
ধন্যবাদান্তে
৩১.০৮.২০১৯ সৌরভ বর্ধন ও সুতনু হালদার
শান্তিপুর, নদিয়া (সম্পাদকদ্বয়, দহর পত্রিকা)
No comments:
Post a Comment