December 25, 2018

প্রকাশিত হ'ল 'দহর' ডিসেম্বর সংখ্যা ২০১৮









                                   সম্পাদকীয় 

নিছক কৌতূহলী মেঘগুলোও শীতের সকালে স্বেচ্ছাচারী হয়ে উঠতে চায়, ওদের মনের মধ্যে জমে থাকা হিমবাহ কবির কলমে অক্ষরের প্রবহমান অবারিত ধারা হয়ে ফুটে ওঠে...

জীবনের পরাগমিলনগুলো রেণু থেকে রেণুর অন্তঃস্থলে নিজস্ব বর্ণালিকে রামধনু রঙে ফোটাতে ফোটাতে একদিন স্বাবলম্বী হয়ে ওঠে। এই স্ব-অবলম্বনেই ধরা থাক জীবনের সমস্ত কবিতার মর্মার্থ।  শুরু হোক জীবন কবিতার এক অনাবিল ধারা...

সমস্ত যান্ত্রিকতার বিরুদ্ধে মানব মনকে যদি কেউ নিরিবিলিতে একটু শান্তি দেয় সেটা অবশ্যই কবিতা। দৈর্ঘ্য,  প্রস্থ, আয়তন, ক্ষেত্রফল- এসবের হিসেব নিকেশের বদলে এই সুমিষ্ট শীত মূর্ছনায় ৩০ জন কবির সর্বমোট ৩৮ টি অণুকবিতার ডালি নিয়ে দহর এবার আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছে। প্রতিটা কবিতাই অনবদ্য। আশা করি পাঠকের মনোরঞ্জন করতে প্রতিটি কবিতাই সফল হবে। আমাদের পত্রিকার এবার প্রচ্ছদ করেছেন কবি পাবলো শাহি। দহরের পক্ষ থেকে তাঁর জন্য এবং এই সংখ্যার সকল কবিদের জন্য রইল আন্তরিক ধন্যবাদ। 

       শুভ বড়দিনের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা সহ-

                         সুতনু হালদার ও সৌরভ বর্ধন
                                   ২৫/১২/২০১৮




একটি করে অণুকবিতায় :



জ্বালা
অমিত পাটোয়ারী

সে এসে দাঁড়ালো ছায়ায়
কোমল, এই উগ্র বিষাদের থেকে তুই পালা
আজ কোনো প্রশ্নের মুখোমুখি
হলে তোর বহুবর্ষকালব্যাপি জ্বালা
ধুয়ে যাবে। কী গরীব তখন জীবন !
প্রতিদিন স্নানে ভেজা লাভা , প্রতিদিন ভিজে থাকা মন।




সীমাবদ্ধ
খোদেজা মাহবুব আরা

সীমাবদ্ধ হতে হতে
জীবন ও মৃত্যুর সাথে সখ্যতা বেড়ে যাচ্ছে
জীবন শুনিয়ে যায় আনন্দের সুর
আর  মৃত্যু সব কেড়ে নিচ্ছে,
ভিখারীর মত উৎসর্গ করছে
তিক্ত গরলের নিরুপায় পৃথিবী।





ছায়া
গৌতম কুমার গুপ্ত

ভাষা হয়ে আছে ঋণী
অক্ষরের দায়ভার, চোখের নীচে

আমৃত্যু থেকে যায় কঠিন অনুবাদ
অশ্রুময় নয়তো নান্দনিক সংরাগ

কে বলে নেই, আছে আছে
ঈশানে, নৈঋতে সীমাহীন সীমানায়

আবহ বাজে দ্যাখো অভিধায়





শাইলক
তুষার আচার্য্য

পরম আত্মীয় হয়েও ডাকি না তোমায়।
বাঙালী মনের আনন্দের ও বিরক্তির সম্ভাষণ।
নারী, পুরুষ নির্বিশেষে তোমায় ডাকে যত্রতত্র।
আড্ডায় থাকো অসম্মানীয়, হয়ে ক্যাবলা কাবু,
লোকালয়ে জোটে সম্মান পদবী মশাই বা বাবু।
অবাক হলে তোমায় ডাকি প্রথমে থাকে যাঃ,
পানশালাতে আছো তুমি,
গলা অব্দি খা।



ক্ষত
উৎপল তালধি

রাতের আকাশে তোর বুক
অসংখ‍্য ক্ষতস্থান নিয়ে
প্রসারিত হয়।
সভয়ে তাকিয়ে থাকি-
ক্রমশ আমার চোখ ভরে ওঠে
বিগলিত আলোকে ;
সর্বাঙ্গে জ‍্যোতির্ময় ক্ষতচিহ্ন নিয়ে
ঘুমপাড়ানি গান গাই নিজেকে শোনাতে।




লোভ
শুভদীপ ঘোষ

লালা মেশানো
তর্জনি আর বৃদ্ধ আঙুল দিয়ে
বইয়ের পাতা
উল্টোতে উল্টোতে
কানে ভেসে আসে টাকা গোনার শব্দ;

কোথাও লোলুপতায় মেশানো আঙুলগুলো
যেন মিশে মিলে মিলে যাচ্ছে ।





কবি
গোপাল বাইন

যে কবি কবিতা লেখে
সেও ভূমিষ্ঠ হয় মায়ের কোলে
কিন্তু সে তারালোক থেকে আসে।

যে কবি কবিতা লেখে
সে আমাদের নিঃসাড় পৃথিবীতে
চিরজাগরুক থাকে।





বলাৎকার
বিকাশ দাস

এসো কবি। এখন নির্জলা দুপুর । আমায় নির্ভয়ে নগ্ন করো ।
শব্দের কাঁচি ছুরি ধরো । মায়াবী গন্ধের ইথার ভরো।
খুবলে নাও শিকড় সমেত আমার উরস খুলে
হোক ভাঙচুর তোমার রিরংসার কলম তুলে ।
আর্তনাদ পড়ে থাক একা নিশ্চুপ ।
ভালো থাকার ধৃতি শুধু ভালোবাসা নয় বলে
নিয়ে যাও কবিতা শরীর থেকে শরীর  ছিঁড়ে
হোক বলাৎকার; কবিতার চেয়ে বেশি দামি ।






মধ্যরাতের T- 20
সুশীল  হাটুই

সোনালি আয়নায় তুমি আমাকে দ্যাখো
আর আমি রূপালি জলে তোমাকে। তারই
মধ্যে ফুলদানির জন্মদিনে বেলুনের গাওয়া
গান ভেঙে টুকরো হয়ে ছড়িয়ে পড়ে বরফে।
আমি সেই গানের টুকরোগুলি বাৎস্যায়ন
নামে ক্যূরিয়রে পাঠিয়ে দিই তোমার সরু
কোমরের হাহাকার ভরা পিচে। যে পিচে
মধ্যরাতে শুরু হয় T- 20.




শপথ
বন্যা ব্যানার্জি

নিঃস্ব আগুন পোড়াচ্ছে মন
বারুদ জমা বন্ধ দ্বার ।
সময় তুমি আগলে রেখো
পাঁজর ভাঙা অঙ্গীকার।।






   প্রণামী বাক্স
মনোজকুমার রায়

একটানা চলতে চলতে থমকে দাঁড়াল
বদলে নিল কলমের কালি
প্রণামী বাক্সের রং
গোধূলি আকাশে উষার প্রভাতে
মিছিলের পথে নব বলি

আষাঢ়ের বৃষ্টিতে ফ্যাকাশে হয়ে উঠে
প্রণামী বাক্সের রং
তখন গভীর অন্ধকারের ভিতর




নবান্ন
দেবব্রত রায়


মাঠভরা ফসলের মৃত্যু মানে ,
তোমাদের খুশির নবান্ন-------
অহোরাত্রি নৃত্য - গীত!



অনতিক্রমণ
নিলয় নন্দী

পেরিয়ে যাচ্ছি প্রিয় স্টেশন। আগে পরের লেভেল ক্রসিং। পেরিয়ে যাচ্ছি সেলফি মোড, বায়োপিক। জীবনে কিস্যু হল না গোছের যাবতীয় আক্ষেপ।পেরিয়ে যাচ্ছি কোনো পরিত্যক্ত বুথ, ডাইনে বাঁয়ে অন্ধগলি। ট্রাকের হর্ণ, ঝিঁঝিঁর ডাক আর অনিচ্ছুক শেয়ারবাজার। পেরিয়ে যাচ্ছি শ্রাবণ,শুভাকাঙ্ক্ষী বা নেহাত নিরুত্তাপ এক দিন।

শুধু দু-একটা দীর্ঘশ্বাস কখনো পেরোনো হলো না...





ধানসেদ্ধ
নিজামুদ্দিন মণ্ডল

শীতের ভোরে ধানসেদ্ধর গন্ধ
নাদায় কুঁড়োর জ্বাল জ্বলছে
মা উস্ কাঠি চালাচ্ছে অনবরত,
আমরা তিন প্রান্তে বসে উত্তাপ নিচ্ছি
গুনগুন করে গল্প শুরু হয়েছে,
শীতের ছেঁড়া পোষাক ভেদ করে
তাপ চলে আসছে সম্মুখভাগে,
পাত পোড়ার গন্ধ পাচ্ছি এখনও

অজান্তেই এমনই কত স্মৃতি শুকিয়ে যায়






ছায়া
সুবোধ ঘোষ

জায়গাটি  দুর্গন্ধ মুক্ত করল
একটি কাক।
কাকটিকে ঘিরে সাতটি কাকের
উৎসব হ'লো শুরু...

ঐ ----
মাটিতে পূর্ণ সুখের ছায়া পড়ে।।






শূন্যস্থান
কৌশিক চক্রবর্ত্তী

সাময়িক মৃত্যুতে রাস্তায় গাড়ি চেপে শোও
হিসাব রেখোনা কত ঢুলু চোখ তোমায় দেখেনি
বরং সে প্রিয়মুখে চুমু রাখো নিয়মমাফিক্
গাছেরাও শিখে নিক বিস্তার আর কুর্বানি।

আবার ফিরেছে সেই শূন্যতা জীবনযাপনে
এখনো মিছিল হলে তুমি একা মৃতদেহ সাজো,
বিষাদের রংতুলি ফেলে যেও শ্মশানের পাশে
লুকিয়ে রাখবো আমি ছাই মেশা জলের আওয়াজও।





স্মরণ
মিষ্টু বসু

অকপটে সম্ভাষণ আদরের
বেহালা সুরের রঙিন তর্জমা করলে যা দাঁড়ায়-
পাড়া ঘেঁষে উঁকি মেরে  উল্লম্ফিত উত্তেজনা তার
নিয়মিত দোর খোলে বিনাশর্তে সমর্পিত আত্মা এষণায়
জেগে ওঠে হলুদ পাতা বোঝাই সংকলন অস্পষ্ট জট ছিঁড়ে
অসহায় কুঞ্চিত রেখা দিব্য অনুমানে ফিরে চলে
অপার্থিব বর্ত্মে...

যুঝে নেওয়ার পরিধি ক্রমশঃ গুটিয়ে নিলে থাবা,অস্থিরতায়
অসময় বোঝে না ঘড়ির কাঁটা বিষম ফোটায় পুনঃপুনঃ






ভালবাসার গান
আমিনুল সেখ

তারপর হৃদয় থেকে এক আলোকবর্তিকা নেমে আসে...
অপ্রেমের শূন্য জঠরে প্রথিত হয় আলোর ভ্রুণ।
সারারাত কেঁদে কেঁদে দগ্ধ হয়েছে যে অশ্রু,
যে ঠোঁট শুধু গেয়ে গেছে ট্রাজেডির বিলাপ,
প্রেমিকার চুম্বনে তারা ফের গেয়ে ওঠে ভালোবাসার গান...
এক অনন্ত শিশিরমাখা হেমন্তের অপেক্ষায়।





বি-ছায়া
জয়দেব মহন্ত

কাঁচা আঙুলে নক্ষত্রগান শোনাবো
অস্তির কোণায় কোণায় জন্মক্রিয়া বেঁধে
প্রশাখান্তরে নিঃশেষ জোনাকি আহ্বান
ফুসফুসে ন্যাপথলিন দিয়ে জাগিয়ে রাখছি।
অস্পষ্ট মৃতদহন...
ছাই আর পঞ্চ-সুরে তার বি-ছায়া বিদ্যুৎমুখী
শুধু ভাঙা দেওয়ালে বকেয়া ঘুম
তুলসী আহ্বানে সেতারে চাপ বাড়ে...





নিজস্বতা ও বেরঙিন
সায়ন্তনী হোড়

একটা খোলা পিঠের উপর কবিতা
লিখতে লিখতে বড্ড selfish হয়ে যাচ্ছি ।

হঠাৎই হেডফোনের ধার ঘেঁষে একটা নিজস্ব
টিউলিপের বাগান তৈরী করি
সেখানে আজকাল যতি চিহ্নের বড্ড অভাব
তাই ফেলে যাওয়া শব্দদের নিয়ে সাজানো
একটা বেরঙিন নৌকা ভাসিয়ে দিই।।







সেলাম জাহাপনা
মৌমিতা চক্রবর্তী

আপনার ম্যারাথন মগজে অসম্ভব আমার জীবিত থাকা,
সম্ভবের অতিরিক্ত মার্বেল বুকে হুল ফোটানো।
আপনার ব্যপ্ত সাম্রাজ্যের সীমান্তে আমার সীমিত বেঁচে থাকা
অবহেলিত দৃষ্টি পথে আমার কলমীলতা জীবন,
আষাঢ়ের শুক্লপক্ষে যজুর্বেদের পৈত জীয়ন ।
আপনি দেখছেন।দেখবেন না -দেখলেই ফক্কা  ঈশ্বরীতলার আকর্ষণ।






মিথোজীবী
রাজশ্রী ব্যানার্জী

কিছু মেহগনি মুর্হূর্তরাই একমাত্র সত্যি ,
চোখের পাতায় দারুচিনি সুখ ,
নরম আলোয় মেঘলা হতে থাকা সম্পর্ক ,
অভিমান গচ্ছিত রাখে বিগত চাঁদের কাছে ৷

রমণে ফুটেছে যে ফুল ,
তাকে আহ্লাদের জল দিও ৷
স্পর্শের স্বাদটুকু বানজারা হওয়ার আগে -
মিথোজীবী হয়ে বাঁচবো ৷৷







 দুটি করে অণুকবিতায়:


জ্যোতির্ময় মুখার্জি

আমি জেনেছি


এসো হে স্থির। মুখ তুলে

আমি জেনেছি

মন্দিরের চেয়েও পবিত্র সমাধি




অশ্রু

ভালোবাসা ছুঁলে অশ্রুরা বদলে যায়
আর আমি
এভাবে কান্না মেখো না







হেমন্ত সরখেল

কালো রাতি গেল ঘুচে


চুরি করে এনেছিলাম তোমার ঘরের যত সূঁচ।
তখন যে তুমি জানতে কালাজাদু
আমার ভয় বাঁচতো খোঁচায়!

আজ থেকে আর কোলবালিশ জড়িও না!
অ কখনো তো বন্ধুযাপন করে প্রয়োজনের!
ভয় ভেঙে গেলে তুমি কিনে নিও নতুন সূঁচ
নতুন শিকার, নতুন জীবন, নব সম্ভোগ।
তে-রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে, আমি সংস্কার শিখেছি।



জমাটিয়া

এই! ! এপর্যন্তই থাক।
গিঁটটা আর খুলো না।

শীতের পশমী কালে যদি খুলে যায় হড়হড়িয়ে সম্পর্কের উল-

ঠান্ডায় জমে কুলফি হবো।

এ সময়ে, উদোম হলে, কষ্ট পাবো।





উজান উপাধ্যায়

শহর চোখের নীড়ে


হৃদয়ে যে ভাতগন্ধ , শ্বেতপদ্ম চোখের ভিতর
মানুষের জন্য রাখা সৌন্দর্যের তুমুল পরাক্রম
অনেক প্রজ্ঞাই শেষে ধরাশায়ী সুন্দরের কাছে
অভুক্ত চাঁদেরও তবু প্রিয়বার্তা রমণী রমণে
তবু জল , তবু ছায়া , তবু রাত গাছের প্রণয়ী
আকন্ঠ মহুয়া ফেঁদে ওই চোখে হিরণ্য অঙ্গুরী
ধরাশায়ী পিতামহ , কমন্ডুলু রিক্ত পরমায়ুর।




কাব্যগ্রন্থ

অনেক গুলো ভালোবাসা আমার ,
অনেক মুক্ত প্রেম।

ফটোফ্রেমে জমাট ধূলোর ফাঁকে
কত ছায়া গলেই পড়ে গেছে।

একটা গোটা যাপন ভালোবাসার ,
একটা গোটা জীবন প্রেমের চিঠি।

জেগে এবং ঘুমিয়ে - যেমন হোক
এই জীবনটা প্রেমের নিবিড় শ্লোক।।






মন্দিরা ঘোষ

স্পর্ধা

না কোন অহংকার নয়
হতাশা নয়
কোন অসুস্থতাও নয়
শুধু তোমার স্পর্ধার আঙ্গুল
যখন আমার দিকে ফেরে
নিজেকে আড়াল করি
নিজেরই আদলে


প্রত্যয়


কিছুটা সবুজ আঘাত আর
কিছুটা প্রত্যয় বিমুখ
আমিও গোছাতে পারি
সব বিনিময়
আমি ও ঘোরাতে পারি
অভিমুখে ভেঙে পড়া মুখ





অভিজিৎ দাশগুপ্ত

নতজানু

আমি কেন সঙ্গ দেব তাকে !
আমি তার রাতগন্ধ পাই
একটি পর্বত খোলা থাক দুদিকেই

               
আলাপ

দুটো রাস্তা ফাঁক হয়ে সন্ধ্যা এল
আমার সমস্ত রাত জুড়ে গোলাপ ফুটেছে ...
আমাদের সত্য-মিথ্যা বাতাস নির্ভর





রবীন বসু

আলোময় আমার প্রেমিকা

এই যে দড়ি টানাটানি
ছিঁড়ে যাওয়া অব্যক্ত বাক্যের জঠর
১শূন্যতা থেকে আর ১ মহা অন্ধকার
তারপর ১২০০ ব্ল্যাকহোল
তাদের ভয়ানক টান
সবকিছু অগ্রাহ্য করে যে মাধ্যাকর্ষণ
সে কী বাংলা কবিতা?

সুচারু বিন্যাসে সাজে আলোময় আমার প্রেমিকা



আলোর মহিমা

বৃক্ষের নিচে যে জল শিকড় তা জানে ;
বহমান শূন্যতার মাঝে দোল খায় যে হাওয়া
তার আছে কোন যাওয়া?
প্রসারিত দুই হাত যতটা শিল্প আঁকে
পাথর-ভাস্কর্য তার গোপন রহস্য জানে?
জানা তো আপেক্ষিক, অনুষঙ্গে থেকে যায়
পরস্পর আলাপ ; সংগোপন পার হয়
প্রকাশিত আলোর মহিমা







তন্ময় চৌধুরী

কিছু ক্ষত

কিছু ক্ষত কাঁপে শব্দের পাকস্থলীতে
কলমের ডগা , অতসকাচ, হয়ে ওঠা ভয়
গোধূলির আলো মুছে ফেলে সন্ধ্যা



এই শীতে

নাক ঝেড়ে ফেলেছে কিছু কিছু গাছ
ঠান্ডা লাগাটা আমাদের মধ্যে বন্দী নেই
এই শীতে








দযাময় পোদ্দার

হাছনের গান

আলো পডে় আসে |
মেঠোপথে মেযে়রা মেলায় যায় |
দূর গাযে়র কথা, ঘরে-দোরে বিরহ জমে |
অগোছালো ঘরে ফেরে- যে যার মতো

দুজনে |





জলভাষা

বাজারের কেনাবেচা ভিডে় কে যে আর

                                    মনে রাখে কাকে,

একবার চাই - দেখা হোক আমাদের

                                     মৃত্যুর আগে !           



_____________________________________________
শোক প্রকাশ :           

কবি নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর প্রয়াণে আমরা গভীরভাবে শোকাহত। বাংলা সাহিত্যে এই নক্ষত্রপতন অপূরনীয় ক্ষতি। তাঁর লেখনীতে তিনি অমর থাকবেন আমাদের মাঝে আমাদের সাথে।

                            ==========

2 comments:

  1. খুব ভালো লাগলো ।শুভকামনা । শুভেচ্ছা সকলকে ।

    ReplyDelete