ঠিক ছায়া নয়
ছায়া হতে গেলে যতটুকু
বলতে পার ছিপছিপে কিছু লেখাকথা
যেন দাঁড়িয়ে দেখছে রেলওয়ে ক্রসিং :
চোখভাঙা গুমটি জড়িয়ে নিচ্ছে আধখাওয়া আপেলের ধোঁয়া । ভেসে আসছে সরিয়ে দেওয়ার মতো ছেঁড়া হাওয়ার তূণ ।
ফিরে যাচ্ছে দ্যাখো মেঘলা সুতোর দেরাজ
থেঁতলানো সন্ধ্যায় ছেড়ে গেছে যদিও আমাদের নিরেট অবকাশ , মুখোমুখি তবু সেলাই আঁকছে দুটো হাসপাতাল মুখ ।
কর্ম :
শর্ত ভাঙতে সেনাপতি লাগে আর তোমার সমস্যাটা কোথায় বলতো? তুমি হয়তো জান-ই না যে কোনদিন সমাধান হতে পারনি ।
ভক্তি :
ঐ যে রঙ দেখছ! বলতে পার কী দেখছ? যদিও বলেছিলে আই কন্ডেম্ ! সত্যি বলতে তুমি কণ্ডোম বলতে পারনি ।
যোগ :
এই যে এত কিছু ...
সিলেবাসে তবু দ্যাখো ব্রাত্য বাৎস্যায়ন! আপত্তি হয়ত সেখানেও থাকত না যদি কলা থেকে তুমি কৌশল হয়ে যেতে পারতে !
আম্লিক
আবার একটা শরীর !
ধূসর পারিজাত খাম হাঁ করে রেখেছে মুখ ।
টোবাকোর প্রতিলিপি ঘুণের মার্জনায় পুরে দাও আবার একটা জার্মানী ।
সংযুক্ত প্রদেশ তিলোত্তমার ধার ঘেঁষে বুলিয়ে দাও নির্মীয়মাণ আমার-তুমি । লাউঝোলা অনুমতি উপেক্ষা করুক এসিডের সাইরেন ।
শিসকাটা কবরের ঠোঁট হাওয়ার মুলতুবি বেয়ে গড়িয়ে নিচ্ছে আলখাল্লা । উলঙ্গ জানু থেকে উঠে আসছে ঔরসজাত ছিটেফোঁটা নাগরিক ।
নেমে এস মরচে আলোর আত্মহত্যা । বেলুন হাতে দাঁড়িয়ে চারুলতা । লকেটে ঝুলছে এখনও একটা গ্যালাক্সি কোড্ ।
তবু রাত ধরে থাকে টিউবওয়েল । জলের পিঠে দুলতে দুলতে এগিয়ে যায় বারুদ ও আরশোলা ।
ধাতব নূর
ন্যাকামো ডলছে সরু রোদের লেগিংস ।
এক কাপ মেঘালয় চুমুক মাপতে মাপতে ভুল বুনছে বীজ গণিত ।
পাঁচিল ঝোলা লিওনার্দো সেদ্ধ টানছে সান্ধ্য মুঠো হবিষ্য । পুড়ছে মেহগনি কাঠের রাস্তা । রাতের ওজনে অক্ষরখোলা মধ্যবিত্ত এলাচ ।
অদ্ভূত এক জ্যামিতিক সুর টেনে ধরে পায়ের নিচে !
পুরোন ট্রাঙ্কের দূর - জলজ ন্যাপথালিন ।
... এখনও একটা পাললিক ঘুম গর্ত পড়াচ্ছে ।
সোনালী আঁশ
ভেজা শরীরে কী আর হয় বলো !
তেষ্টা সেদিনও ছিল আজ সামঞ্জস্য ।
এ কী নির্মম না নির্মাণ যে পাললিক জমে শুধু নির্জনে
তবু যদি ভেদ করত আমার নিরঙ্কুশ একাগ্রতা !
ভ্যাপসা হাওয়ায় না হয় খুলে যেতাম সেখানে রক্ত মাংসের হাহাকার ।
সোনালী আঁশ
নিটোল শর্করায় শুয়ে আছে মন । ছিপ হাতে দূরত্ব মাপার মার্জনায় প্রাত্যহিক বমি । শিথিল হয়ে আসছে বঁড়শির মুখে মানচিত্রের বিকলাঙ্গ জনন ।
No comments:
Post a Comment