কবি মন্দিরা ঘোষের পাঁচটি কবিতা :
চিল্ড বিয়ার
গতানুগতিক ব্যস্ততার অভিমুখ
ইউটার্ন নিলে
ব্যক্তিগত কবরে উড়ে বসে
স্যান্ডপাইপারের বিকেল
শর্তাধীন স্বাধীনতায় ট্যাটুর রঙটি কান্নার
টাইট শেডিউল ভেঙে চ্যাটের
অ্যালকালাইন স্নান
ক্লিপবোর্ডে গেঁথে নিই চিল্ড বিয়ারের সান্নিধ্য
অথচ একটু দখিনা বাতাস দুটি হাতের মাঝে
ঋতুবদলের গল্প হয়ে উঠলে
হরিয়ালী সন্ধ্যায় ভরে ওঠে নিজস্ব বাগান
টিক মার্ক
এভাবেই কী নিঃস্ব হওয়া যায়!
একটা লম্বা পাটাতনে পা রেখেছে
বুনো স্বপ্নের দল
বুকের ভেতর জারুল ফুলের বৃষ্টি
ঝরছেই
সেই যেদিন
একটি হাতের ভেতর
আরো একটি হাত নির্ভরতা বুনছিল
আর অন্ধকারের গর্ভ ছিঁড়ে
সবুজ পদ্যরা
শিশিরের ভবিতব্য
আঁকছিল বিপ্লবী ঠোঁটে
শূন্যতার সূচিতে টিক মার্ক দিয়ে যাচ্ছি কেবল
ভিকট্রি স্ট্যান্ড
কতটা ভালোবাসো এমন অবাধ্য প্রশ্ন নয়
জানি আজকাল দোয়াতে আর কালি বিক্রি নেই
কলম ধুয়ে মুছে রাখার রোদ আর
বারান্দা চেনে না
তবু বিনিময়ের নিজস্ব জানলা দিয়ে
ঢুকে পড়ে আকাশ
রাজ অনুচরের অদৃশ্য ট্রিগার
উড়ে যাওয়া ডানাকে লক্ষ্য করেই
তাই কিছুই শোননি তুমি
ফাঁকা রাজপথের চোখ সেদিনের মতই সজাগ এখন
ভুল করেও তোমার উদাসীন চোখ
যদি নেমে আসে অবাধ্য ঠোঁটের চাহিদায়
বরং ধরা যাক আনুগত্যের হাত
দুহাতের মাঝে কাৎ হয়ে থাকা সময়শরীর
শিরা উপশিরায় ব্যর্থ বিপ্লবের পদধ্বনি
সমস্ত স্রোতের টান কোন অনিশ্চিত
ধোঁয়াপাথরের দিকে
তোমার নিজস্ব আনুগত্যের পালকটি
উড়িয়ে দাও নির্ধারিতের কাছে
বদলের চাকা খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে
ঠিক হেঁটে যাবে ভিকট্রি স্ট্যান্ডের দিকে
মোহনাঘর
পারবে কি ফিরিয়ে দিতে
সেই শাল ফুলের আকাশ কিংবা
একলা বাসস্টপে দাঁড়িয়ে থাকা
ক্যালাইডোস্কোপিক নির্জনতা !
বেনাগাল হাওয়ায় আলুথালু দুপুর
কালভার্টের কাছে দাঁড়িয়ে
অর্ধেক জীবন
পাতার গানে শিষ দ্যায় বুকের মাধবীলতা
একটা লং ড্রাইভের স্বপ্ন ভাসিয়ে রাখে
উড়ো জাহাজের ডানা
ভোরের শেষ স্বপ্নটির ক্যালিগ্রাফি
কোরাল রীফের মগ্নতা ভাঙছে
ঝিনুক রং তুলে রেখেছি কান্নার বিপরীতে
এরপর একটি সমতল সংগ্রাম বয়ে যাবে
মোহনাঘর পর্যন্ত
মিথুন আলোয়
বুকের ভেতর ভাঙা সিঁড়ি
ঘড় ঘড় শব্দের টান
চেনা আঙুলের দিকে ধীরে
নেমে আসে নিজস্ব রতির আঁধার
মিথুন আলোয় ভাসে
হতাশ ওঠা বসা অঙ্গীকার
জায়মান শূন্যে নোঙর ফেলে
অগৌরবের আঁকিবুঁকি
একটাই বিকেল শুধু
ছিঁড়ে ছিঁড়ে পাতি
তোমার খিদের ঝিল্লিতে
নেভানো বশংবদ
______________
No comments:
Post a Comment