দহরের আগামী সংখ্যার জন্য তোমার নতুনত্বে ভরা একগুচ্ছ কবিতা উপহার চাই.
সুতনুর (হালদার) মেসেজ, অর্থাৎ আমি আমন্ত্রিত দহরের পরবর্তী সংখ্যায়. বেশ কেমন ফিলিং গুড্ গুড্ অনুভূতি শুরু হয়ে গেল
এ সুযোগ হাতছাড়া করার কোনও মানে হয় না, করব'ও না. তাছাড়া দহরের সঙ্গে আমার দহরম মহরম কম নয়. দুই সম্পাদক'ই প্রিয়
কিন্তু সমস্যা করে দিল ওই 'নতুনত্বে ভরা' এবং গুচ্ছ. আমি আর গুচ্ছফল নই. আঙুর থেকে আম হয়ে গেছি অনেক দিন হল. কিন্তু কতখানি নতুন, তা আমি জানি না, তবে পরিবর্তন একটা টের পাচ্ছি মনরণে
যাইহোক, লেখা শুরু করা যাক. তাছাড়া 'দহর' যখন, ক্ষুদ্র হলেও বিস্ফোরণ কিছু একটা ঘটাতেই হবে. এমনই কিছু পড়েছিলাম প্রথম সম্পাদকীয়তে. আর আমি ভাবতাম বুঝি, হ্রদ
অবশ্য হ্রদ হলেই ভালো হতো, ভাসিয়ে দিতাম কিছু একটা বা ডুবিয়ে, নতুন বোতলে পুরনো
'দহর'
পত্রিকাটা যেদিন শুরু হল, সেদিন ছিল শিক্ষক দিবস. যুগ্ম সম্পাদক, সুতনু আর সৌরভ. সুতনু আবার স্কুল শিক্ষক. কিন্তু কবিতার শিক্ষক হতে চায়নি ওরা. ভালোবেসে কবিতাই দুই স-তিনে নতুন চলা
বুঝলাম ওদের সম্পাদকীয় পড়ে. আরও একটা নতুন পত্রিকা কেন, কয়েক লক্ষ কবি আর হাজার খানেক পত্রিকার ভিড়ে. উত্তরটা খুঁজছিলাম আর পড়ছিলাম, লবণ আর তুলোর ফারাক
যেকোন পত্রিকা এবং তার সম্পাদক, একটা ক্যারেকটার্ তৈরি করে বা ক্যারেকটার্ তৈরি করতে পারলেই একটি লেখা ছাপানোর কাগজ, পত্রিকা এবং লেখা ছাপানোর লোক, সম্পাদক হতে পারে
সহজ সত্য বলে জেনেছি এটাই এবং বুঝেছি, বহুগামী বেশ্যা বলেও প্রতি রাতে যাও যার দ্বারে, 'দহর'-এর চরিত্র সেটাই
সুতনু হালদার
'দহর'-এর সম্পাদক, যুগ্ম সম্পাদকের একজন. চশমা পড়ে, গোঁফ আছে, বউ আছে, বাচ্চা আছে, মাস্টারি করে এবং কবিতাও লেখে
সুখী সুখী চেহারা. কবিতা বোলানো চোখ. দেখা হয়েছিল, বিড়লা প্লানেটোরিয়ামে. বিড়ি খায় না, সিগারেট'ও. অন্তত আমি দেখিনি
ভালো ছেলে, খুব ভালো ছেলে. কবিতাও লেখে খাসা. কিন্তু আসল ব্যাপার সেটা নয়, আসল ব্যাপার হল শুক্তোর রুইপোস্ত
কবি হয়েও, পত্নীনিষ্ঠ ভদ্রলোক
সৌরভ বর্ধন
'দহর'-এর বাকি রইল এক সম্পাদক. ম্যাচো হিরো. চেহারাটা এমনই. কবিতাও, স্টাইলিশ. আপডেটেড
প্রথম পড়ি, যখন আমি কোনো এক পত্রিকার সম্পাদক. পড়তেই ভালো লেগে গেল, লেখা. দেখা, প্রথম বিড়লা প্লানেটোরিয়ামেই
মিশুকে, স্মার্ট. মেয়ে পটানো চেহারায় কবিতা লেগে আছে আর একটা হাসি. ঝুলন্ত সর্বদা
এইভাবে লেখাখেলা
করতে করতেই চারটে কবিতা হয়ে গেল. আর একটা লিখতে পারলেই যোগের নিয়মে হবে পাঁচ এবং আমার গোছা কমপ্লিট্
কিন্তু যে প্রশ্নটা সবার আগে সামনে এসে দাঁড়ায়, তা হল লেখা নিয়ে কি খেলা করা যায় বা খেলতে খেলতে লেখা. কবিতা কি লেখা যায়, না লিখতে লিখতে লেখা কবিতা হয়ে যায়?
প্রশ্নগুলো খুব কঠিন, জান্তব. তাই তার উত্তর খোঁজার দায় আপতত হ্যাঙ্গারে টাঙিয়ে রেখে আমি শুধু এইটুকুই বলতে পারি, লেখা মোটেই আলাদা কিছু নয়, কবিতাও
নিজের সঙ্গে বলা কথাগুলোই লিখতে লিখতে হয়তো কথালেখা, কবিতা ছুঁয়ে যায়
কবিতার একটা খোলা মন ...
ReplyDelete