উত্তরপর্ব
জল আর জলের সাথে আমি ও আমরা,
আয়নার সামনে
সমুদ্র ক্রমশ সাগর হয়ে যাচ্ছে
আচ্ছা, ফেনাগুলো কি আমরা
তবে দ্বীপ গুলোতে কারা থাকে,
যারা আসে যায়?
ততক্ষণে অনেক্ষণ.
সব দ্বীপেরা চিৎকার করে ওঠে
বলে - হে পরিযায়ী বলে যাও
সমার্থকে তুমি আগন্তক বা অতিথি নও
উত্তর আসে না আসে না
বিস্তার
এই ধরো আমি মুঠোয় ধরছি বিকেল
আর চুইয়ে পড়ছে সন্ধের মেঘমালারা,
চুপচাপ চেষ্টা করছি সূর্যটাকে দাঁড় করাতে
সোনালি সন্ধেগুলো মুঠোর ফাঁকা বেয়ে কনুই পথে-
গিরিপথ ধরে কিনারায়,
থমকে দাঁড়ায়
সামনে তার যৌবনের চিরিক চিরিক ডাক
পিছনে দীর্ঘ মালভূমি আর-
সময়ের বিস্তীর্ণ ফাঁক.
ততক্ষণে আমিও রাতের খাবার খেয়ে ফেলেছি
কিন্তু হ্যান্ডওয়াশটা যে ফুরিয়ে গেছে
এদিকে কনুই অবধি ভেবে নিয়েছি
ধুতে হবে
বিপ্লব
তারপর আলমারি
তারপর জামদানি
তারপর কাজল
তারপর যাবতীয় তছনছ করে-
একটা দুঘণ্টার মুখ চিত্রনাট্য লেখে.
তারপর পাহারা
তারপর মহরা
তারপর গজল
তারপর চুমু চুমু লুকিয়ে ফেলে-
এটা তিন অহ্নের বিলাসনাট্য খেলে.
বিপ্রকর্ষণে লেখা খেলা হয়ে যায়
তারপর তার পর
ভূত
তুমি
আরো অনেক তোমরা
অথবা আমরা, কিংবা-
আমি
এগুলো ভুলতে চাইছি.
পারছি কিনা দেখছি না, কিন্তু-
জানে সবটা
বুড়ো বটটা
মানে সর্বনামে
এগুলো বলতে চাইছি
পারছি না, অথচ-
মানছি না
ভুলতে চাইছি কি
No comments:
Post a Comment