আপাতত যে কোনো পদস্খলনের তর্জমা বন্ধ রেখে আমরা স্থির পায়ে হাঁটতে অভ্যস্ত হতে চেষ্টা চালাচ্ছি. বাহুবলী অগ্রাহ্যে সমস্ত মেঘনাদী অস্ত্রনিনাদ তুচ্ছ করে ব্যাপন ক্রিয়ায় বহুবচনের অংশীদারিত্বে এইবার ছছজন ভিন্ন ধারার কলমকে 'দহর' স্বাগত জানিয়েছে. ছ'জনের মোট ত্রিশটা কবিতা প্রত্যেক কবিকে আলাদা করে চিনিয়ে দেবে এই বিশ্বাস আমাদের অন্তরে দৃঢ়বদ্ধ; জীবনযুদ্ধের ভাটফুল আর অশ্বমেধের ঘোড়ার যৌথ প্রশ্বাসে প্রত্যেকটি অক্ষরের অটোজমে ভালোবাসার সুগন্ধি ধূপধূনোর আনাগোনা, রোদের কার্নিশে এক মধুর আমেজ বৈশাখী শুভেচ্ছাকে কখনো কখনো কাল. রাখে রূপ জলতরঙ্গের সুরে রাখে. যে ভালোবাসা অমলিন হবার নয় সেখান থেকেই শুরু হোক স্বরবর্ণ আর ব্যঞ্জনবর্ণের নিয়ম ভাঙা প্রেমের পাটিগণিত. বৃষ্টি সত্যিই এক অচেনা দর্পণ সমস্ত সর্বনামকে ফিকে করে আজকের কবিকণ্ঠের সংকট মোচন করবে এই নয়. যৌবনের চিরিক চিরিক ডাক স্মৃতির আণুবীক্ষণিক কোশগুলোকে জ্বালিয়ে দিলে ঝরনারা রজঃস্বলা হয়ে ওঠে! ঠিক সেই সময়েই মনের অন্তরাল থেকে শোনা যায় হার না মানা কণ্ঠস্বর. আমরাও সমস্বরে বলে উঠি এই জন্ম যদি বৃথা হয় পরজন্মে আগুন হয়ে ঝরে পড়ব. এই দৃঢ়চেতা বজ্রকাঠিন্য আজকের তরুণ কলমের অরুণ অক্ষরের পরতে পরতে ধ্বনিত হচ্ছে. ঢালাও বহুগামিতায় সূর্যের প্রতিসরাঙ্কের মধ্যে নিজের অস্তিত্বকে দাপিয়ে প্রতিষ্ঠা করার নামই জীবন, সেই জীবনের প্রত্যেকটি কণাই আসলে 'দহর'. এক আশ্চর্য বিস্ফোরণের প্রতীক্ষায় ...
সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসাসহ-
ধন্যবাদান্তে,
সুতনু হালদার ও সৌরভ বর্ধন
যুগ্ম সম্পাদক
'দহর' ব্লগজিন
২1/04/২019
শান্তিপুর, নদীয়া.
No comments:
Post a Comment