আত্নহত্যা প্রবণ ফুলের গান
তামাকের পাতা ধুয়ে যাচ্ছে জলে, যার ঠোঁটে শলাকায় জ্বলে উঠেছে প্রাণঘাতী আগুন, তার কাছে কোকেন আফিম কিংবা মরফিনের চেয়ে প্রিয় ছিল পপি ফুলের সতেজ শরীর, সু-গন্ধী ঘ্রাণ, যে ভালবেসেছিলো নিঃসঙ্গ গম ক্ষেত, জুঁই-জবার চাষাবাদ, সে কেনো ভালবাসে একা একা আত্নহত্যাপ্রবণ গোলাপ ফুলের গান ...
ছায়া হাঁটছে কথা বলছে
ছায়া হাঁটছে, চুপি চুপি কথা বলছে অন্ধকারে, ভয়ে তটস্থ মানুষ আমি ঘুরে ফিরে দেয়ালের কাছে এসে কান পেতে দাঁড়িয়ে আছি, যেনো কেউ ছুঁয়ে দিলে পাথর হয়ে যাবো, যেনো আমার অস্তিত্ব কখনো ছিলনা, না ছায়ায় না কায়ায় এইসব ভেবে যাত্রা বিরতিতে থেমে যাওয়া স্টেশনে দাঁড়িয়ে মনে পড়ে, এখানে ভুল করে দাঁড়িয়ে পড়েছি, শহরগামী উজ্জল আলোর ট্রেন আমাকে ছেড়ে গেছে সেই কবেই ...
পরজন্মে আগুন হবো
গিরগিটি রং বদলাতে জানে মানুষও তেমন, জন্ম থেকে ধারণ করে আছে বিষাদ বায়ুর সংসার, মাটি রঙ্গা এক শরীর, নিঃসঙ্গ পুঁই ফলের কাছে এইসব কথা বলি, সেও ধারণ করে আছে বেদনা, ছুঁলে দিলে কেমন রক্তের মতো লাল, তোমার চোখের মতো নীল বেদনারা আকাশ, বড় মহৎ, তারা জানে ঠিক ঠাক, যদি এ জন্ম বৃথা হয়, পরজন্মে আগুন হয়ে পোড়াবো ...
কারো চোখের দিকে
কারো চোখের দিকে তাকালেই মনে পড়ে ওখানে ঘর আছে. ঝড়ে বিপর্যস্ত মানুষের স্মৃতি, যারা একদিন মৈথুন জল ও নারী ভালবেসে দূরদেশের জাহাজের নাবিক হয়েছিলো, মাঝ সমুদ্রে ঝড় ওঠা রাতে, তারা একদিন আবিষ্কার করেছিলো জলে মানুষ নির্বিকার, মানুষ মাত্র-ই তো এক মৃত্যু শিকারী প্রাণী ...
পাপের শহরে একা একা
একা একা পাপের শহরে আমি তোমাকে দেখি, পুন্যবতী গোলাপ, ব্যাক্তিগত অহংকারে ঝুঁকে আছো পাতার কাছে. আর বৃষ্টির রাত জুড়ে একলা এক বৃষ্টি, থমথমে স্মৃতি সন্ধ্যার বেলা, তোমাকে মনে পড়ে বৃষ্টিগাছের তলায় ফুটে আছো নিঃসঙ্গ নক্ষত্র ...
No comments:
Post a Comment