বিশ্বরূপ বিশ্বাসের গুচ্ছকবিতা

 

পুতুল রাখো ক্যানো

..1 ..

ফুসফুসে গান পৌঁছয়.  ঝিনুক পৌঁছয়.  লাল বিন্দুতে ধরা পড়ে ঢেউ পৌঁছানো তকমা.  স্বপ্নসম্ভবের সারাবেলা জাদুছবির রেণু মাখি.  সাঁতারে সাঁতার দিয়ে.  পিঁপড়ে হ'য়ে থাকি.  ওড়াউড়ি বন্ধ হয়.  শেষ কথায়.

শুনসান ধান চাষে পুতুল রাখো ক্যানো.  চোখ সিঁটিয়ে ওই সিঁথিতে সিঁদুর ঢেলে দেবার অভিযান.  এমন অভিমান লণ্ঠন নিভিয়ে সঙ্গম ক'রি.  পুতুলের বাচ্চা পুতুল হ'য়ে জন্মাক.  ধান ক্ষেতে.  পাট ক্ষেতে.

জোনাকির ঘুম বিড়ালের মতন.  আমার ঘুম ঈশ্বর জানে.  কত না আঘাত পেয়ে একা শুয়ে ঘুমে.  ম'রতে গিয়েও আমি ঘুমিয়ে থাকি না.  নিজস্ব ঘরে আরো পোষাঘুম আছে.  সম্ভব হ'লে আবার ঘুমিয়ে যাবো.

ঘষবে এমন জিভ খসিয়ে দেবো.  খসিয়ে নেবো.  বোঝার নিবিড় জ্বালা.জলে ব'সে আছে.  পাহাড় যা খোরাক দেয়.  জঙ্গল দেয় না.  পিরীত হ'তে গিয়েও পরাগ পড়ে.  বালিখুঁড়ে বালিহাঁস লোকসান মানে না.

বিষাদের চেয়েও আরো পেয়ালা আছে. শিখর যে ব'লে দেবো. পেপার কই লেখার. সাহস মেপে বৃদ্ধ হই. আপেলে বয়স খায়. যায় যায় কোরো আমার. অবতার কেটে যায়. ভালো কোরে ঘেঁটে যায়.

যতটা রাস্তা হাঁটি. ততটা-ই পথ বাড়ে. হিসাবের ভুল ধ'রে. কে ফাটে আর. আমাকে পিছিয়ে রাখার দেমাক. দেরাজে কোটন করে কাচ. আমার কি কোদাল নেই. আমার কি লাঙল নেই. আজ ..

..২ ..

আঙুলের লাশ আঙুল বহন ক'রছে. রোষ ব'লতে এখন প'ড়ে আছে বিস্তীর্ণ শূন্যদোষ. গম্বুজের খিলান. যে মানুষ পাছা চেয়েছিল তৃপ্তিহারার. তার বিকেলবেলা অবরোধ ক'রেছে. সাঁজোয়ার বাতিঘর. বরখাস্ত যোনি. 

বৃষ্টি আর দর্পণ এখানে চিনবে কে. দুপুরের গমের ক্ষেতে. নূপুরের শব. গাঢ় কুসুমের রাইফেল. কার্বন সিঁড়ি. বাকারির শলা. চ'টে ঝ'রে প'ড়ে আছে. খৃষ্টান সিংহাসন. অসম্ভব ইশকাপন.

ছোবড়া চিবানো দাঁতের সমৃদ্ধশাদা আকাশের গায়. ছোঁয়াচে কিডনির ত্বকের কেউ ছোবল নেয় না দুধের ওষুধে. ছেদ এসে যায়. ভেদ এসে যায়. বিলাপ ফুঁপিয়ে নিয়ে আকস্মিক. জীবন কতটা গোল বোঝা গ্যালো না. 

আহা কি চমৎকার চশমাফুল. মধ্যরাত্রে ফোটা গালের ইস্. আহা কি চমৎকার. ফুঁ দিয়ে দেখি সব স্থানের নিশ্বাস নিই. জটপাকানো বুকের স্তন্য উঁচু হয়. আয়ুবৃদ্ধি হয়. 

খাঁজে দাঁড়িয়ে থেকে. সম্মিলিত ভাঁজ এলো চোখে. লাইটের আলোয় আলোয় অদ্ভুত তাকায়. যে জ্যোতি হাওয়া পেলো. যে আলো ধুলো হ'লো. তাকে রাখবে কোথায়. বলো. তাকে রাখবে কোথায় ...

অবস্থান

সাইকেল কভার না হ'লে দিন কভার হয় না. গহন যাত্রায় প্রিয় আওয়াজ দিচ্ছো যতটুকু. অনুমান

চিরদিন-ই ততটুকু পথেঘাটের অনুমান. পাটাতনে প'ড়ে গেলে শুকতারা নিভে যায়. উষ্ণতা কমে.

ডানায় জাগেনি শয়তান. এমন ডানা নেই. পালক তুমি যত পারো খ'সে যেতে

পারো. ছিঁড়ে যেতে পারো. শয়তান বাঁচিয়ে নেবে নিজের কৌশল. ডানার ওড়াউড়ি.

চ'লেছে এমন চাকা-ই চ'লতে পারে রাস্তা. গাড়ি হ'য়ে থাকো চাকা.

চেনাজানা চলা হ'য়ে থাকো. সন্ধ্যায় পথ খুঁজে বাড়ি ফিরে যাই. পরিচিত হ্যাবিটে.

কেউ আলমারি তৈরি করে না. তাকালে আলমারি এমনি-ই হ'য়ে যায়.

সাবালক জামাকাপড় ছেড়ে রেখে এসে. আলমারি বানাই আমি. আহাম্মক ঘরে.

সিরিয়াস টেপাতে সুখ আছে বেশী. ও বুকে মুখ দিলে সুবিধের হবে না. একবার চেপে দিলে

পূর্ণিমা হবে. অমাবস্যা হবে. অবস্থান বুঝতে হ'লে একদিন. টাইম ক'রে টিপে দিয়ে যাস.

ভাগ্য আর সমীকরণ ফিট. রিপিট বলবার লেখা. বোলি না আমি. দূরবিনে টাইপ অক্ষর

দিলে স্পর্শকাতরগান. গিটার হ'য়ে দুনিয়াকে বাজিয়ে দেবে. সহস্রবার. ফাটিয়ে দেবে ...

ম্যাক্স প্লাঙ্কের গবেষণা

ম্যাক্স প্লাঙ্কের গবেষণা. কমলালেবু দুধের পরে অবস্থিত. 4-এর প্রতিটা শব্দ.

একটি 4 সৃষ্টি ক'রছে. কাচ ভাঙলে জার তাই. গুঁড়োগুঁড়ো টুকরো হ'য়ে যায়.

নিশ্চয়ই বাল্ব দেখছে প্লাঙ্ক. প্লাঙ্কের নিজের বাল্ব হাউসফুল. স্থির.

ধাতুর কুণ্ডলীর বাল্ব আলো মুছে দেয়. ম্যাক্স প্লাঙ্কের বাল্ব কুণ্ডলী ছিঁড়ে দেয়.

এই এরিয়াটা প্লাঙ্কের. সমীকরণ না জেনে ঢোকা বারণ. টোকা বারণ.

ব্লাঙ্ক পেপার থাকলে দিয়ে দাও হাতে. ম্যাক্স প্লাঙ্ক একটি কবিতা লিখে দিক তাতে.

আমি তো নিজে-ই প্লাঙ্ক. মহাকর্ষীয় ব্ল্যাক হোল. আমার আলোচনা সাধারণ নয়.

তৎকালীন পৃথিবী ছেড়ে তাই. আমি শূন্যে উঠি. আমার Max. প্লাঙ্কে মিশে যায়.

থিওরি ব'দলে দিলেও. অনুসরণ থাকে. অনুকরণ থাকে. মহাকাশের মহাচিন্তন. অস্তিত্বের গ্যালাক্সি.

বিন্দু মিলিয়ে দিলেও মহাবিকাশ থাকে. 1 থেকে সংখ্যা তাই. ক্রমশ 100 তে নেমে যায় ..

গেস্টরুমে

নরকে শোবার আগে নাতিনীকে চুমু দিলুম. পরিস্কার চুমু. আর বোললুম.

বন ছেড়ে চ'লে যাবার আগে. রক্তপাত কোরো না. অভ্যেস রেখো গঙ্গাস্নান.

চরসের টান. শামুক আর শুয়োর খেওনা আর. ওরা ও তো জীব.

অপরূপ ডাকছে সতরঞ্চি পেতে. কাছে চ'লে যাওয়ার গাড়ি. বাড়ি নেই আমার.

প্লিজ. অ্যাতোবার আলজিবে চেটোনা শরীর. মুখ. শিশ্ন. কানের লতিতে আমার

কামড় লাগিও না. সঙ্গম ছেড়ে সন্ন্যাসী হই. এবার বয়সকালে ছেড়ে দিই Sex ,,,.

আমাদের অন্নজল কি বিচ্ছিরি. বাজে. কি ভীষণ নোংরা. পচা. আমাদের অন্ধকার

খোঁপায় সাঁটা চুল. খুলে দিলে অন্ধকার. বেঁধে রাখলে আলো. অঙ্কন এঁকে যেন

সাইনবোর্ড ঝুলে আছে. ম্যাডোনা ছবির.

চোখ বাসি. ফুল বাসি. ফুটফুটে মরামাসির. হাসিটা প্রচুর. পয়সার আশীর্বাদ

গ্লাসে পুরে রাখি. ঐশ্বরিক সুদাসল এসে. সংকটমোচন ক'রুক. পুড়ে যাওয়া

আস্তানার. গরীব গৃহস্থের.

আমি যতদিন পয়দা ক'রেছি. তোমার লাইসেন্স. আমার ততদিন ডুবে গ্যাছে.

পোস্টকার্ডে. শবদাহের সৎকার. শ্মশানে হয়নি. আমি কবরে যাইনি. নিজের

লাশ নিয়ে শুয়ে আছি.  দিনরাত নুয়ে আছি.  হোটেলের গেস্টরুমে ...

লক্ষ্মী

ভয় ভয়ের চোখের একমাত্র ফুল.  আড়াল ক'রতে গিয়েও সাহস চক্রান্তকারী.  পিতলের মুখ.

অস্থিঘরের পোড়াঘরে সলতে জ্বেলে দিলে.  ক্রমে হয় উসকানি বড়োছোটো লোকের.

অদ্ভুত প'ড়ে যাচ্ছে তবু পতন পাচ্ছে না.  ক্রোধ আর ক্ষমা নিয়ে কুইনের মেজাজ.  ভাঁজ ভাঁজ

হ'য়ে আছে.  ঝাঁকে ঝাঁকে ফেলে দিলে আকাশের তারা.  কৃপা হ'লো.  দয়া হ'লো.  চুমো দিলো না.

শাপলার পাঁজরের রাণী.  আর রাক্ষসী.  যোগ পেলে লুকনো নির্মল খায়.  এ থাকে ও যায়

ঘুঙুরের শব্দে.  অলৌকিক সংসারে.  কেউ কারুর দ্যাখা পায় না.  নিয়মিত.

বিছানায় যে সরল.  সেই সরল গ্লাসে.  সব-ই ঢেলে দিলে.  আধক্রোশ তরল হ'য়ে যায়.  শাদা

আলপনা হ'য়ে যায়.  করপুটে যে জল স্মরণীয় থাকছে.  সমুদ্র তাকে ধ'রে দিঘল হ'য়ে যাচ্ছে.

কৌশল না জানার চোরপকেট লম্বা.  11 টা রেজগিতে হাত ভরে না.  সহজে যা চুরি হয়.

তা চুরি হ'চ্ছে না.  চোরে নিচ্ছে না.  লুকিয়ে পিষে যাচ্ছে চোরের অভীষ্ট.  সিরিয়াস প্লান.

ওইটুকু বয়সের ডাগর ঝকঝকে.  ডুরি বাঁধে না হাত.  এমন নিখুঁত হাত চাই.

নজর এড়িয়ে গেলেও.  নজর ফেরে না.  লক্ষ্মী হও.  প্রতিমা হও.  মা.  বিবি হোয়ো না ...