February 21, 2019

সম্পাদকীয়







এমন কিছু মুক্তি আসে, এমন কিছু মুহূর্ত আসে যা আমাদের বিমূঢ় করে দেয়। করে দেয় অতীত অনাগত। একমাত্র শক্তি ছাড়া কোনো কিছুই শাশ্বত নয় অথচ আলোকে উজ্জ্বল জীবনে চঞ্চল। আমরা সমস্ত আনন্দ পেরিয়ে আসি বইমেলা দিয়ে প্রেম দিয়ে সাফল্য দিয়ে, এখানে রক্ত মিশে থাকে ধুলোয়, দেখি না আমরা; যখন নিরাপত্তাহীনতায় সৈন্যের মৃত্যু অনেক প্রশ্ন তুলে ধরে, ধরে রাখে, যারা কালের নিয়মে নেমে যাবে একদিন, একদিন নতুন প্রশ্ন উঠবে আবার, তবু এই প্রতিদিন কেউ কেউ ব'লে যাবে 'আয় আরও বেঁধে বেঁধে থাকি', কেউ বলবে 'অস্ত্র ফ্যালো, অস্ত্র রাখো গানের দুটি পায়ে...' : আমরা স্বাভাবিক হয়ে যাই এই রোজ প্রতিদিন। শুধু থেকে যায় কিছু নীতিগত কিছু আদর্শগত কিছু নিরুত্তর প্রশ্ন, যেগুলো আমাদের ক্লান্ত করে, ক্লান্ত, ক্লান্ত করে। মাত্র ১২টি কবিতায় সাজানো এবারের সংখ্যায় সেই সমস্ত ব্যাখ্যাকে দূরে ফেলে এসেছি আমরা, স্বাভাবিক হওয়ার চেষ্টা করেছি; জানি না এই স্বাভাবিকত্বেই সমাপ্তি ঘোষিত হবে কিনা, নাকি নতুন শুরুর অপেক্ষা প্রহর গুনবে, গুনতে ভুল করবে, আবার গুনবে, গুনবেন। নাকি কিছু স্তব্ধতা থেমে যাওয়ার জন্য, কিছু থেমে যাওয়া শুঁয়োপোকা যেমন। যেমনই হোক না কেন 'মানুষ যতদিন পর্যন্ত স্বপ্ন দেখবে, ততদিন কবিতাও থাকবে'।

সকলকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের শুভেচ্ছা জানাই। তীব্র যানজটেও এই মাতৃভাষাই হাত ধরে থাক আমাদের। এই ভাষাতেই লিখি মুক্তি...

 তাং - ২১.০২.২০১৯                    ধন্যবাদান্তে
                                                 সম্পাদকদ্বয়
                                    সৌরভ বর্ধন ও সুতনু হালদার
                                        দহর পত্রিকা (ব্লগজিন)
                                     শান্তিপুর, নদীয়া, পশ্চিমবঙ্গ




1 comment: