ভাঙা সিঁড়ি
১
এক্স টু দি পাওয়ার ইনফিনিটির ভ্যালু খুঁজতে খুঁজতে
পাড়ি দিয়েছি শূন্যতায়
খেয়াল রাখিনি
ধীরে ধীরে শুষে খাওয়া মরুগ্রাস
অন্তর্জালকে খুঁজি ওয়েসিস ঠিকানা
২
অ্যানাটমি ল্যাবের কঙ্কাল
আমার কঙ্কালসার চেহারা দেখে হেসে ওঠে
জায়গা করে দেয় পাশে দাঁড়াবার
অনুভব করি বন্ধুস্পর্শ
৩
ভাঙা সিঁড়িতে পা দিলে
অদ্ভুত শব্দ করে কেঁদে ওঠে
কান্নার শব্দ বাজিয়ে দেয়
শেষের দামামা
বুঝিয়ে দেয়
সময়, তাকে ধীরে ধীরে এগিয়ে দিয়েছে অবসরে
বিপদজনক লেবেল সাঁটে সমাজ
পরিত্যক্ত হয় ভাঙা সিঁড়ি
বাতিমিছিল
সারি সারি মোমবাতি চলেছে রাজপথে, রোগা-লম্বা-মোটা-খাটো, কেউ বা বয়সের ভারে ভেঙে পড়েছে। অথচ বাতিমিছিল হওয়ার মতো কোনো ঘটনাই শিরোনামে আসেনি। এগিয়ে চলেছে বাতিমিছিল, বইপাড়া গলি হয়ে, শিয়ালদহ স্টেশনের জনবহুল রাস্তা দিয়ে। রাস্তার দুপাশে তখন ভীড় জমিয়েছে কৌতূহলী জনতা; আনন্দ সাধনারা রাতের চব্বিশটা ঘন্টা কাটিয়ে দৌড়ে এসেছে। সকলেই নিজের মতো খাড়া করছে কনক্লুসন, ইমাজিনেশন গ্রাফও বাড়িয়ে নিচ্ছে উর্ধমূখী রিডিং। বাতিদলের দৃষ্টি সরলরেখায়, কোনো প্রশ্ন, কোনো ইমাজিনেশন, ব্যারিকেড তুলতে পারছেনা গতিপথে। এগিয়ে চলেছে মিছিল, এগিয়ে যাবে মিছিল ছন্দে ছন্দে রঙ বদলানো গিরগিটি দুনিয়ায়।
অপরচুনিটি
হাতির পায়ে চাপা পড়ে মারা গেছে শত শত পিঁপড়ের দল। অথচ মৃত্যুটা স্বাভাবিক দূর্ঘটনা, বা কোনো সাজানো ঘটনার শিকার বোঝা যাচ্ছেনা। বেরিয়েছে একটা মৌন মিছিল বাতি হাতে। সামন্য একটা মিছিলে যোগ দিতে থাকে লাল পিঁপড়ে, বুলেট পিঁপড়ে, ডেঁপো পিঁপড়ে সহ নানান পিঁপড়ের প্রজাতি। প্রত্যেকই দাবি করছে মৃত ব্যক্তি তাদের প্রতিনিধি।
আসলে একজনের শোক অন্যজনের অপরচুনিটি।
No comments:
Post a Comment