March 26, 2019

মহাদেবাশা'র গুচ্ছকবিতা






জিরো ওয়াটের কবিতা

(১)

আর কবিতা লিখবো না

অথচ তোমাকে হাসি ভেবে
গড়িয়েছে জল

সাঁতারুর এই পাখি পাখি ভাব
বড্ড আনমনা একটা গাছ

হলুদ পাতার নীচে শালিক
সাদা বরফের নিস্তব্ধ অনুপস্থিতি

পিয়ানো বাজিয়েছে সারারাত


(২)

এই পৃথিবীর কাছে
বয়ে নিয়ে যাব স্রোত

তুমি আর কান্না লিখ না
ঘনীভূত সকাল

তারপর শুধু রোদের ফিনকি
দু-এক পশলা ব্যালকনির চাঁদ নেমছে

বুক পর্যন্ত সাদা বরফ
আঁচলের ভূমিকায় শেয়াল হচ্ছে রাত্রি


(৩)

গল্প মুছে আকাশ হচ্ছে মেয়েটি
সার্কস ভর্তি জলপ্রপাত হাসি

কেন এবং কিভাবে এই দুটো প্রশ্নের মাঝে
ঘামের সমুদ্র

কেউ কি আমাই নদী নামে ডাকবে¿

এসবের মধ্যে অনেকদিন পান খাওয়া হয়নি
পরিচিত ঠিকানার অপরিচিত হা-হা-কা-র
আমাকে গাছ বানাচ্ছে

অনেক রকম স্রোতে উড়ে যাচ্ছে গৃহপালিত সমুদ্রের ক্যাকটাস


(৪)

এই রাস্তার কাছে নতজানু

শীতকাতুরে বরফের কাছে বরফ হচ্ছে আকাশ

ভাঙো
         নিজেকে
                        ভা
                             ঙ
                               তে
                                    ই
                                         রাস্তা

নিয়ে চলে গেছে পদন্যাস

ছাতার কলমী শাকে পোষা শাসনের শাঁখা


(৫)

এটা একটা নরম দুপুর

ঘূর্ণি, প্রেমের থিটা নিয়ে এগিয়ে আসছে

 দ-এর মাঝে কোনো ডুবুরি নেই

শালুক রোদের সংলাপ মুছে মেরিবিস্কুটে ভিজিয়ে নিচ্ছি হাওয়ায় চটির সস


______________

No comments:

Post a Comment