বিষাদপঙ্ক্তি
এই যে হৃদয় নামক নির্জন উপত্যকায়
কি পাবে তুমি এলে?
সপুষ্পক রজনীতে মেঘ গলে ফোঁটা ফোঁটা
ইচ্ছেকনা হাওয়ায় ভাসবে
বেশীদূর সে ভেসে যেতে পারে না।
অন্ধকার একাকী হাঁটার সময়
একটা জ্বলন্ত বিষাদ ফুটিয়ে তোলে মাথায়
আলোকবর্ষে সঙ্গাহীন ঝিঁ ঝিঁ'র কথোপকথন
যেন মহাশূন্যস্হানকে টেনে টেনে বয়ে
চলেছে নিওলিথ যুগের এক প্রেমিক,
তাঁর আর্দ্র দুচোখে ঝরছে বিষাদপঙ্ক্তি
তাঁর চারপাশে নিঃসঙ্গতার বেড়া।
তাকে ছুঁয়ে দিলে তুমি জোনাকী হবে...
মৌসুমীপ্রবণ
পরিযায়ী পাখির ঋতুযান আছে
এলোকেশ থেকে চুঁইয়ে পড়ে সন্ধের অবগুন্ঠন।
বিষন্ন পথের দুয়ার খুলে এক ফেরিওলা এল বাড়িতে
সেই ছিল আমার প্রথম বাউল দেখার নেশা
সে গান গাইতো না
তার কর্কশ স্বর মাটিকে বলা
তার হাতে চলে যায় আমাদের ভাঙাচোরা জীবন...
সেই যে জীবন!
যে জীবনকে সময় দস্যুর মতো গিলে নিচ্ছে
যে জীবনকে শুধু মেঘের পর মেঘ পেরোতে হয়।
সেই জীবনের মাঝে সহসা তুমি এলে
যেন অনন্তের অবয়ব দেখতে গেলাম ছুটে
দিবানিশি তারপর থেকে ভিজছি...
No comments:
Post a Comment