June 30, 2019

কাজী রুনালায়লা খানম


'অন্ধকারের উৎস হতে '

কতকিছু রেখেছি গুছিয়ে নিজস্ব গভীরে
আলোর উৎসব
অগণন প্রসাধিত মুখ
ফ্লুরোসেন্ট আহ্লাদে ভেসে যাওয়া শাহরিক সুখ।

দেখেছি আলোর নীচে বসে থাকা বিদগ্ধ আঁধার
বয়স্ক ত্বকের বলিরেখা, খড়িওঠা শীর্ণ হাত,
ক্ষয়াটে সময়ের শূন্য চোখে
জমে আছে হিম হিম কুয়াশাপরত।

শুকতারা সাক্ষী রেখে
ভোরপথ হেঁটে যায় যে অনাম্নী বৈষ্ণবী

           যেতে যেতে
                           চলা থামিয়ে
                                            একবার

মানুষের পাশে এসে বসে
দুদন্ড জিরিয়ে নেয় মানুষের বুকের ছায়ায়।

আমিও ভাঙনের কিনার থেকে
বুকে ভর দিয়ে উঠে দাঁড়াই
সটান ছুঁড়ে দিই,
এইসব বিজ্ঞাপিত সংলাপ
রোশনাই... নহবত... আয়োজন...

নিশিডাকের মতো ছুঁয়ে ছুঁয়ে যাই
শিশিরভেজানো পায়ের ছাপ।
আমার আজন্ম  হা- ভাতে শব্দেরা
মৃদু পায়ে হেঁটে আসে
             মিশে যায় মানুষের ভীড়ে।
আমার ভেতর বাইরে তখন
             অন্য এক উৎসবের আলো,
                            আশ্চর্য বোধনের সুর।

ফিরে আসি নিজস্ব গভীরে
মোহান্ধ আগল খুলে দেখি চোখের নিহিত জলে
একশো আট নীলপদ্ম ফুটে আছে।



No comments:

Post a Comment